এবার শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে আচমকা খাদের কিনারে চলে গেছে বাংলাদেশ। আজ হারলেই সবার আগে দেশের বিমানে চড়তে হবে তাদের। অথচ ছয় দলের এই টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে মাত্র পাঁচ দিন হলো। এরই মধ্যে বাংলাদেশকে টিকে থাকার লড়াইয়ে নামতে হচ্ছে, আর তাদের প্রতিপক্ষ আফগানরা কেবল আসর শুরু করছে। ভিন্ন ভিন্ন সমীকরণ ও মানসিকতা নিয়ে আজ লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে দু'দল।
এদিকে জয়-পরাজয় ছাপিয়ে এই ম্যাচে চোখ থাকবে ব্যক্তিগত লড়াইয়েও। দুই দলের দুই বড় তারকা সাকিব আল হাসান ও রশিদ খানের দিকেই যে মূল ফোকাসটা থাকবে তা অনুমেয়। দেখার বিষয়, ব্যাকফুটে থেকেও সাকিব কীভাবে এই চাপ সামাল দেন। সুপার ফোরের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে কেবল জিতলেই হবে না সাকিব-মুশফিকদের, নেট রান রেটের দিকেও মনোযোগী হতে হবে।
প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪২.৪ ওভারে মাত্র ১৬৪ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। এ রান ১১ ওভার হাতে রেখে শ্রীলঙ্কা টপকে যাওয়ায় নেট রান রেটে অনেক পিছিয়ে গেছে বাংলাদেশ। তাই আজ শুধু জিতলেই হবে না, ব্যবধানটা বড় হতে হবে। অবশ্য এরপরও ব্যাকফুটেই থাকতে হবে টাইগারদের। কারণ আফগানিস্তান গ্রুপ পর্যায়ের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে, তাই সুপার ফোরে যাওয়ার জন্য তাদের কী করতে হবে, সেটা জেনেই মাঠে নামতে পারবে উভয় দল। এই কঠিন পরিস্থিতিতে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ।
একটা কথা বেশ প্রচলিত আছে, বাংলাদেশ নাকি রশিদের ভয়েই ভেঙে পড়ে। যদিও পরিসংখ্যান রশিদ খানের হয়েই কথা বলে। ১১ ম্যাচে রশিদ নিয়েছেন ১৯ উইকেট। ইকোনমি ৩.৬৬! বোলিং তো আছেই, ব্যাটিংয়েও ঝড় তুলতে বেশ পারদর্শী রশিদ। সাকিব-রশিদ মুখোমুখি লড়াইয়ে ব্যাটার রশিদকে এখন পর্যন্ত তিনবার আউট করেছেন সাকিব। ব্যাটার সাকিবকে রশিদ ফিরিয়েছেন দুবার। রশিদের বিপক্ষে ৪৪ বল খেলে সাকিবের রান ২৬। আর সাকিবের বিপক্ষে ২১ বল খেলে ১৫ রান করেছেন রশিদ।
বাংলাদেশ শুধু রশিদকে নিয়ে পড়ে থাকলেও ভুল হবে। কারণ বাংলাদেশ টপ অর্ডারদের যম আফগান পেসার ফজলহক ফারুকি। এদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে নামার আগেই নিজেদের ফেবারিট ঘোষণা করেছে আফগানিস্তান। এতে হয়তো চাপ কিছুটা বাড়লো বাংলাদেশের জন্য। আফগান কোচ জোনাথন ট্রটের পর তাদের অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদিও নিজেদেরই ফেবারিট ঘোষণা দিলেন।